


------------------------------x-------------------------------
ডিস্ট্রিক্ট কাউন্সিল অফ কালচার, কালাহান্ডি ও ললিত কলা অ্যাকাডেমি, উড়িষ্যা, যৌথভাবে কালাহান্ডি জ়েলার ভবানিপাটনা শহরে, গত ৩সরা মে থেকে ৯ই মে ২০১০, অনুস্থিত করল “অল ইন্ডিয়া পেইন্টিং এগজিবিশান অ্যানড ওয়ার্কশপ”।
উল্লেখযোগ্য কর্তাদের মধ্যে ছিলেন আর এস গোপালন (আই এ এস, কালেক্টর ও চেয়ারম্যান ডিস্ট্রিক্ট কাউন্সিল অফ কালচার, কালাহান্ডি), জগন্নাথ মহান্তি, (সাব ডিভিশনাল ম্যাজিস্ট্র্যাট), ললিতকলার চেয়ারম্যান দুর্গাপ্রসাদ দাস, অক্ষয় কুমার পট্টনায়ক (কো-অরডিনেটর) পেইন্টার ও মনোজ রাউত স্থানীয় শিল্পী প্রমুখ। প্রায় শতাধিক শিল্পী – প্রতিবেশি রাজ্যগুলি থেকে – পশ্চিম বংগ, ঝাড়খন্ড, বিহার, দিল্লী ও মূলতঃ উড়িষ্যার শিল্পীরা।
ওয়ার্কশপ চলেছে ৯টা থেকে সন্ধ্যে অবধি ৩,৪,৫,৬,৭ ই মে। প্রতিদিন সন্ধ্যেবেলায় মঞ্চে উড়িষ্যার বিভিন্নপ্রান্তের আদিবাসি গান ও নাচের প্রদর্শনীর ব্যাবস্থা ছিল। অতি চমৎকার সেসব প্রদর্শন। পরিচালনা করেছেন উমেশ চন্দ্র শতপথী তার অপূর্ব সুন্দর গলায়। তিনি ভিমলা কনভেন্ট স্কুলের বর্ষীয়ান শিক্ষক ও স্বনাম ধন্য নাট্যকার। ৭ই মে সন্ধ্যেবেলায় ছিল পুরস্কার বিতরনী অনুষ্ঠান। প্রশাসনের কর্তা ব্যাক্তিরা সামনে থেকে ও ললিত কলার চেয়ারম্যানের হাত দিয়ে।অনেক শিল্পীকে নানা সম্মানে ভুষিত করেছেন। নানা শিল্পীর জীবন ও কর্ম জনসমক্ষে তুলে ধরেন। এই কর্মকান্ডের উল্লেখযোগ্য শিল্পীরা ছিলেন অ্যালবার্ট অশোক কলকাতা, তারকশঙ্কর রাঁচি, উজ্জল ঘোষ হাজারিবাগ, উত্তম মল্লিক জামশেদপুর,পাটনা, ও অনেক উড়িষ্যার শিল্পীরা। উল্লেখ্য এই বিশাল শিল্পযজ্ঞে শ্রেষ্ঠত্বের শিরোপা পেলেন কলকাতার অ্যালবার্ট অশোক। তাকে ‘সত্য শিব সুন্দর’ উপাধিতে ভূষিত করেন।
অ্যালবার্ট অশোক জানান তিনি একটি অ্যাক্রিলিকে ছবি আঁকেন, নাম দেন ‘ইনোসেন্ট ভিক্টিম’। ছবিতে দেখান চাঁদনীরাত, চারিদিকে অন্ধকার, দূরে একটি শুকনো পাতাহীন অস্পস্ট গাছ, অন্ধকারের মধ্যে একটি বলির ছাগল একবারে সামনে ছবির একতৃতীয়াংশ জুড়ে ভেসে উঠছে – কপালে সিঁদুরের টিপ, গলায় ফুলমালা শুন্য দৃষ্টি, করুণ ভাবে তাকিয়ে আছে। সে নিজেকে বাঁচাবার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছে, অসহায়।
‘ইনোসেন্ট ভিক্টিম’ শুধু বলির ছাগলরাই নয়, সাধারণ মানুষরাও। সাধারন মানুষ অহরহ বলি হচ্ছে ছাগলের মত নানাভাবে, তাদের অসহায় অবস্থা এই সমাজ ও রাস্ট্রের ভাবা উচিত।
উমেশ শতপথি জানান, কালাহান্ডিতে একটা বিশেষ ধর্মীয় অনুষ্ঠানে সমস্ত রাত হাজার হাজার পাঠা বলি হয়। রাস্তায় রক্তনদী বয়ে যায়। প্রশাসনের ও বেসরকারী সেবা প্রতিষ্ঠানগুলি সম্মিলিত প্রচেস্টা করেও এই ছাগল নিধন যজ্ঞ বন্ধ করতে পারেনি। গুরুতর বিষয় ভাবা দরকার।
৫ মে প্রশাসন থেকে অ্যালবার্ট অশোক ও তারকশঙ্করকে স্থানীয় জেলে আমন্ত্রণ করে এক মহোৎ উদ্দেশ্যে নিয়ে গেল, সাথে প্রচার মাধ্যেমের লোকেরা (ই টি ভি)। জেল কর্তৃপক্ষ অপরাধীদের শোধরাবার জন্যে অনেক ব্যাবস্থা নেন, সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডের মাধ্যমে অপরাধীদের মন বিশুদ্ধ করতে চান, এছাড়া। জেলে অনেক বন্দি অবসর সময়ে ছবি আঁকেন, ও যারা আঁকাকে বুঝতে চান, শুরু করতে চান তাদের অনুপ্রেরণা ও উদ্ধুদ্ধ করতে অ্যালবার্ট অশোক ও তারকশঙ্করকে বলা হল ছবি এঁকে বন্দিদের কিছু বুঝাতে। একটা দুই আড়াই ক্যানভাসে অ্যালবার্ট অশোক অ্যাক্রিলিকে আঁকলেন ঘরের ভেতর একটা টব খোলা জানলার শিক গলে তার শরীরের অনেকটা অংশ রোদ্দুরের দিকে এগুচ্ছে, তার শরীরে ফুল, কলি ইত্যাদি আর পাঁচটা প্রাকৃতিক গাছের মতো—প্রজাপতি উড়ে এসে তার ফুলে বসছে।
অ্যালবার্ট অশোক বুঝাতে চেয়েছেন বন্দিরা ইচ্ছে করলে জেলের দিন গুলি কাজে লাগিয়ে আবার স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারেন।
পুরো কর্মকান্ডে জগন্নাথ মহান্তি, (সাব ডিভিশনাল ম্যাজিস্ট্র্যাট), সক্রিয় ভুমিকা আমাদের ঋণী করে রাখে।
সরকারি খরচে কালাহান্ডির বেশ কিছু দর্শণীয় স্থান পরিদর্শন করলাম। খাকসি, জাকুম, করলাপাট স্যাঙ্কচুয়ারি ইত্যাদি---- মনে হল বুভুক্ষু কালাহান্ডি জেগে উঠছে তার আপন ঐতিহ্যে গরবিনী হয়ে।





I am and another painter being honoured inside jail by jail super and government of Odisha
No comments:
Post a Comment