পুংলিঙ্গ বা শিশ্ন উৎসব/ চিওয়াবা মাতসুরি Chiwawa Matsuri or বা হোনেন মাতসুরি Ho¬nen Matsuri বসন্তকালের উর্বরতার এবং তাজা ফসলের (নবান্ন?)উৎসব।
নাগোয়া Nagoya, শহর থেকে ৪৫ মিনিট,
কোমাকি শহরের তাগাটা মন্দির Tagata shrine, ওখানে পুংলিঙ্গের প্রতি উৎসর্গিত এক মন্দির আছে। প্রতি বছর ১৫ই মার্চ,
বাঙালির পয়লা চৈত্র, ছোট বড় সকলেই আসেন এখানে, তারা সারাদিন দেখেন বিশালাকার এক
কাঠের তৈরি শিশ্নের মূর্তী, খান শিশ্নের আকৃতির নানা রকম খাবার, প্রার্থনা করেন
ঈশ্বরের কাছে শিশ্নসম্পৃক্ত ইচ্ছার।
Source : http://gakuranman.com/japanese-penis-festival/
Source : http://gakuranman.com/japanese-penis-festival/
এই ঐতিহ্য শুরু হয়ে ছিল ১,৫০০ বছর আগে। এটা একটা বসন্তকালীন
উৎসব, শিশ্নউৎসব বা Honen-sai
Matsuri, উর্বরতা ও সুফসলের আশায় জাপানী লোকেরা করে।

প্রতিবেশি শহরে ও গ্রামে শুরু হয় স্ত্রী-লিঙ্গ উৎসব, ১৪ই মার্চ বা এর আগের
রবিবারে।
এর দ্বারা বোঝা যায় দু’টো পিঠাপিঠি যৌন-উৎসব। হাইম নো
মিয়াতে Hime-no-miya বিশাল আকারে স্ত্রী-লিঙ্গ মূর্তী বা যোনিবিগ্রহ বানানো হয়। এবং উৎসবে সবাই
মেতে উঠেন। ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা অভিভাবকদের সাথে মেতে উঠেন।‘স্বাস্থ্যবান বাচ্চা’,
বড়রা প্রার্থনা করেন। সমস্ত দিন সাকে মদ বা নিহনশু Nihonshu(ভাত থেকে
গেঁজিয়ে তৈরি), বিয়ার থেকে শুরু করে নানারকম যোনির
আকৃতির মিস্টি, আইস্ক্রিম,
পিঠে ও নানাখাবার খেয়ে যোনি উৎসব পালন করা হয়।
সকালবেলায় শিশুরা ছোট একটা যোনির মূর্তি ওগাটা মন্দিরে Ogata shrine নিয়ে যায় পরে বড়রা বিশাল এক যোনি ৪০জন মিলে বয়ে এক মিছিল বার করে, তার সাথে
ছোট ছোট যোনি মূর্তি নানা লোকে বয়ে আনে।

Source: http://www.loneleeplanet.com/2010/10/top-10-japanese-penis-festival-souvenirs/
Source: http://www.loneleeplanet.com/2010/10/top-10-japanese-penis-festival-souvenirs/
দিনের শেষে গোলাপী ও সাদা রঙের মোচি mochi (আঠালো ভাতের গোলাকার দলা)ছুঁড়ে দেওয়া হয় জনতার ভিড় লক্ষ্য করে।

এই শিশ্নউৎসবে লাখ লাখ জাপানীর সাথে বিদেশিরা ও জড়ো হয়।
মেলা-উৎসব ঘিরে কয়েকদিন আগের থেকেই শুরু হয়ে যায় আনন্দ, বড় বড় কাঠের লোহার তৈরি শিশ্নের
মূর্তির সাথে পোজ দেওয়া। দেখা যায় তরূন যুবক যুবতী থেকে আরম্ভ করে বুড়ো বুড়িরাও
বিশাল এক শিশ্ন মূর্তী জড়িয়ে ফটো তোলার ভঙ্গিমা দিচ্ছেন।
আর উৎসবের মূল ঘটনায় কোথাও
২ফুট বনাম সাড়েছয় ফুট জাপানী সাইপ্রাস Japanese cypress.কাঠে নির্মিত শিশ্নের মূর্তি বড়োরা মিছিল করছেন। মাঝে মাঝে রাস্তায় এই বিশাল
শিশ্ন মূর্তি কাঁধে করে চক্রাকারে পাঁক খান, চিৎকার বা উচ্চস্বরে আনন্দ ধ্বনি
তোলেন। বয়ে যায় আনন্দের হিল্লোল।এইভাবে মিছিল চলে এক থেকে দেড় ঘন্টা।
জাপানীদের কথায় (কোমাকী অঞ্চলের লোকেদের কথায় Komaki), “প্রাচীন জাপানীরা বিশ্বাস করত উন্নতি আর বেড়ে উঠার মূল হল বসুন্ধরা মা বা
পৃথিবি মা, এই মাকে বাবার দ্বারা বা স্বর্গের দ্বারা গর্ভবতী করতে হবে।
লোক এখানে আসে সন্তান কামনায়, প্রতিবছরেই আসেন দুর থেকে।
তারা এরপর ঈশ্বরকে ধন্যবাদ জানান।”
মেলা বসে, বিক্রেতারা যোনি ও শিশ্ন আকৃতির নানা ক্যান্ডি,
কলার মাথায় চকোলেট ইত্যাদি খাবারের পসরা নিয়ে বসেন।

Source : http://celebritiesnews-gu.blogspot.in/2010/08/festival-penis-di-jepang.html



কোথাও কাঠের তৈরি শিশ্ন ও যোনির খেলনা, বা ঘর সাজাবার জিনিস বা সিগারেটের ছাইদানি নিয়ে বসেন।মেয়েরা শিশ্নাকৃতির কানের দুল কেনে। আরো কত মজার কথাবার্তা ছেলেমেয়েদের কানে কানে হয় তা কত লোক আড়ি পেতে শুনে্ন! যেসব খাবার পরাম্পরার বা ঐতিহ্যগত, বিক্রেতারা তাও বানায়। টাকোয়াকি Takoyaki (ময়দা দিয়ে বলের মত গোল করে বানায় ভেতরে একটা অক্টোপাস ভরে দেয়), ওকোনোমিয়াকি (ময়দা ও সব্জি দিয়ে), মিস্টি, ইয়াকিতোরি(কাঠিতে মুরগির মাংস),ওডেন (সব্জির নির্যাস), ইয়াকিসোবা(এক ধরণের নুডুলস্ ভেজে) বিয়ার, সাকে(মদ) ইত্যাদি উৎসবের অঙ্গ।

Source : http://celebritiesnews-gu.blogspot.in/2010/08/festival-penis-di-jepang.html
কোথাও কাঠের তৈরি শিশ্ন ও যোনির খেলনা, বা ঘর সাজাবার জিনিস বা সিগারেটের ছাইদানি নিয়ে বসেন।মেয়েরা শিশ্নাকৃতির কানের দুল কেনে। আরো কত মজার কথাবার্তা ছেলেমেয়েদের কানে কানে হয় তা কত লোক আড়ি পেতে শুনে্ন! যেসব খাবার পরাম্পরার বা ঐতিহ্যগত, বিক্রেতারা তাও বানায়। টাকোয়াকি Takoyaki (ময়দা দিয়ে বলের মত গোল করে বানায় ভেতরে একটা অক্টোপাস ভরে দেয়), ওকোনোমিয়াকি (ময়দা ও সব্জি দিয়ে), মিস্টি, ইয়াকিতোরি(কাঠিতে মুরগির মাংস),ওডেন (সব্জির নির্যাস), ইয়াকিসোবা(এক ধরণের নুডুলস্ ভেজে) বিয়ার, সাকে(মদ) ইত্যাদি উৎসবের অঙ্গ।
কাঠের খেলনা মত শিশ্নগুলু সন্তানকামী মানুষ যারা চাইতেন
তাদের দিয়ে দেওয়া হত, তারা প্রয়োজন মিটে গেলে আবার তা ফেরত ও দিয়ে দিতেন।বা কখন
নতুন কিনে দাতাকে ফিরিয়ে দিতেন।জাপানে শিশ্ন হলশক্তি ও ক্ষমতার প্রতীক, কখনো
সুরক্ষার প্রতিনিধি।শিশ্ন উৎসব বড় করে প্রতিপালিত হয়, যোনি উৎসব আগের দিন ছোট করে
হয়।
এসব না দেখলে বাকী এশিয়া মহাদেশের রাস্ট্রগুলু ভাবতেই
পারবেনা যে আমাদের এই মহাদেশের একটি দ্বীপ দেশ জাপানে যৌনতা কত মুক্ত ও
সামাজিকভাবে তার কেমন ব্যবহার।
আগে তগাটা জিণজা অর্চনাগৃহ The Tagata Jinja shrine
মানুষের আধ্যাত্মিক সুরক্ষার জন্য ব্যবহৃত হত। সমস্ত বছর জিণজা হৈচৈ মুক্ত থাকে, হয়ত
কয়েকজন সন্তানকামী যুগল আসে।
এখানে সব ধরণের লোক আসে উৎসবে আনন্দে ভাসতে, কিন্তু কখনও
মারামারি, বদমায়েসি ভিড়ের মধ্যে দেখা যায়না।সাকে মদ সবাইকে বিনে পয়সায় সমস্ত
মিছিলে বিতরণ হয়।
কোথাও প্রতি বছর একটা বিশাল মাপের, ১৩ ফুট লম্বা, ২৮০ কেজির
শিশ্ন হিনকি গাছের
hinoki (cypress) কাঠ দিয়ে বানানো
হয়। বিশেষ ভাবে পুরানো আমলের যন্ত্রপাতি দিয়ে ও কায়দায় বানানো হয়। শিশ্ন পৃথিবীর
সকল নারী পুরূষের ঐক্যতার প্রতীক।পুরূষেরা সাদা পোশাক পরেন, সাদা পোশাক তাদের কাছে
শুদ্ধতা ও পবিত্রতার প্রতীক।

যারা এই শুভ্রবস্ত্র পরিধান করেন একমাত্র তারাই শিশ্নের বিকটাকায় মুর্তী বহন করার অধিকার পান। তাদের ন্যুনতম ৪২ বছর হতে হবে। এই বয়সটাকে জাপানীরা অসৌভাগ্যের বয়স মনে করে।

যারা এই শুভ্রবস্ত্র পরিধান করেন একমাত্র তারাই শিশ্নের বিকটাকায় মুর্তী বহন করার অধিকার পান। তাদের ন্যুনতম ৪২ বছর হতে হবে। এই বয়সটাকে জাপানীরা অসৌভাগ্যের বয়স মনে করে।
মিছিলে স্থানীয় শিন্টো (শিন্টো হল জাপানীদের আদিম
আধ্যাত্মিক পথ) পুরোহিতরা নানা রকম বাজনা বাজিয়ে যান আর মদ্য পরিবেশন করেন।
পাহাড়ের উপর শিমেই-শা অর্চনাগৃহ থেকে মিছিল কাঠের পুংলিঙ্গ
মূর্তী পাল্কীতে (মাইকোশি mikoshi) করে কাঁধে নিয়ে বের হয় বা কুমানো শা অর্চনাগৃহ থকে পৌছোয় তগাটা জিণজা
অর্চনাগৃহে।
স্ত্রীলোকেরা ছোট ছোট শিশ্নের মূর্তী বহন করে। তারা মনে করে
এর দ্বারা তারা সুরক্ষিত ও উর্বর। মহিলারা ৩৬ বছর বয়সকে অসৌভাগ্যের বয়য় মনে করে।
তারা জিণজার কাছে মানত ও দান করেন তাদের ইচ্ছা পূরণের জন্য
একে বলে এমা ‘ema'।
আমার কাছে মনে হয় সত্যি
জাপানীরা যৌনাঙ্গকে অন্যদের চাইতে অধিক ভালবাসেন। তারা তাদের জীবন, স্বাস্থ্য,
সুফসল ও ইতিবাচক বিষয় নিয়ে মত্ত থাকে। তারা উষ্ণপ্রস্রবন ভালোবাসে যেখানে ওরা
উলঙ্গ হয়ে স্নান করে। উলঙ্গ হওয়ার লজ্জাবোধ এদের নেই।

এবং তারা খোলাখুলি মনে যৌনতা নিয়ে আলাপ আলোচনা করতে পারে। বিশেষ করে বয়স্ক ও মধ্যবয়েসিদের মধ্যে। তারা মনে করে যৌনক্ষুধা ভাল স্বাস্থের লক্ষণ।
Source: http://www.nihonsun.com/2009/04/01/kanamara-festival/
Source : http://mermaidsarereal.wordpress.com/2010/11/27/chapter-three-women-divers/

এবং তারা খোলাখুলি মনে যৌনতা নিয়ে আলাপ আলোচনা করতে পারে। বিশেষ করে বয়স্ক ও মধ্যবয়েসিদের মধ্যে। তারা মনে করে যৌনক্ষুধা ভাল স্বাস্থের লক্ষণ।
Source : http://mermaidsarereal.wordpress.com/2010/11/27/chapter-three-women-divers/
কানামারা মাতসুরি Kanamara Matsuri হল স্টিল-শিশ্ন শিন্টোদের উৎসব Shinto Festival of the Steel Phallus ।
মিছিল বা প্যারেড নাচ গানের তালে তালে সবাই নাচতে নাচতে দৈশা মন্দিরে Daisha
Temple পৌছয়।
সেখানে বিকেল থেকে চলে নানা রকম বৈকালিক অনুষ্ঠান চলে, রাতে কাবাসাকি ক্লাবগুলিতে
চলে দেদার আনন্দ উৎসব
১৭ শতাব্দীতে গীশা Geisha
( আমাদের দেশের বাঈজি যাদের একটা সম্প্রদায় নাচ-গান করত
আবার কেউ যৌনসেবাও দিত) তারা বা বেশ্যারা যৌনরোগ থেকে মুক্তি বা সুরক্ষা পেতে
শিশ্নপূজা করত।
কাবাসাকিতে এই উসব
এপ্রিলের প্রথম রবিবার হয়।
হনেন মাতসুরি Hōnen
Matsuri । হনেন
মানে হল জাপানী ভাষায় সমৃদ্ধ বছর বা দারুন ফলনের বছর. আর মাতসুরি মানে হল উৎসব।এই উৎসবের মূলই হল উর্বরতার প্রতীক
শিশ্ন উৎসব।
পৃথিবীর মধ্যে জাপানের জন্মহার সবচেয়ে কম। সরকার প্রতিটি শিশুপালনের জন্য ২৮০
ডলার শিশু স্টাইপেন্ড দেয়।
No comments:
Post a Comment