Translation in your mothers language

Friday, October 22, 2010

অশ্রু তৈরীর কারখানা ও ভ্যালঝিনা মর্ট





অশ্রু তৈরীর কারখানা

এবং আরেকবার বার্ষিক প্রতিবেদন অনুসারে
অশ্রু তৈরীর কারখানা দ্বারা
সর্বোচ্চ হারে উৎপাদনের ফলাফল পাওয়া গেছে

যখন পরিবহন নিগম নাস্তানাবুদ হয়ে যাচ্ছিল
যখন হৃদয় সম্পৃক্ত দপ্তর
মৃগীরোগীদের মত দাপাচ্ছে
অশ্রু তৈরীর কারখানায় চলছে রাত্রিকালীন বদলীতে কাজ
এমনকি ছুটির দিনেও কাজ করে নজির তৈরি করেছে

যখন খাদ্য পরিশ্রুত মহাকরন
আরো একটা দুর্ঘটনা হজমের চেস্টায় ব্যস্ত
অশ্রু তৈরীর কারখানা নতুন একটা আর্থিক সুবিধা পন্থা নিল
অতীতের বর্জ্যগুলির নতুন রুপ দেওয়ার কৌশল
অধিকাংশই স্মৃতি সংক্রান্ত

অশ্রুর দেওয়ালে টাংগিয়ে দেওয়া হয়েছে
বৎসরের সেরা কর্মীর ছবি

আমি একজন বীরোচিত অশ্রু কারখানার পুরষ্কার প্রাপক কর্মী
আমার চোখের উপর মোটা পুরু চামড়া আছে
আমার গালে জটিল অস্থিভঙ্গ আছে
আমি যা বানাই তাই দিয়ে বেতন নিই
এবং আমার যা আছে তা নিয়ে সুখী আছি

Translation from English version
by
Albert Ashok
contact : albertashok at yahoo dot com

ভ্যালঝিনা মর্ট একজন আমেরিকার কবি। জন্মসূত্রে তিনি বেলারাশিয়ান। ২০০৫ সালে তিনি আমেরিকায় আসেন। তিনি উভয় ইংরেজি ও বেলারাশিয়ান ভাষায় কবিতা লেখেন। তার প্রথম কবিতার বই 'ফ্যাক্টরি অব টিয়ারস' বাংলায় মানে করলে দাড়ায় 'অশ্রু তৈরির কারখানা'। বইটির একদিকে বেলারাস ভাষায় লেখা কবিতা তার উলটো দিকে ইংরেজি অনূবাদ। বইটি বেলারাশিয়ান ভাষা থেকে তিনি নিজে, এলিজাবেথ ওহেল্কার রাইট্‌স ও ফ্রানজ্‌ রাইট্‌স মিলে আমেরিকার ইংরেজিতে তর্জমা করে প্রকাশ করেছেন। বেলারাশিয়ান ভাষায় মূল কবিতা। মর্ট তার দুঃসাহসী, আকর্ষনীয় 'ফ্যাক্টরি অব টিয়ারস' সম্পর্কে বলেছেন এতে সব কিছুই আছে, 'আপনি একজন পুরোহিতের কাছে বলবেননা' কিন্তু 'একজন গাড়ির চালকের কাছে সব উন্মুক্ত করে দেবেন।' (এলিজাবেথ ওহেল্কার রাইট্‌স অনুবাদে আরকানশাস বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এম এফ এ করেছেন, ফ্যানজ্‌ রাইট্‌স তার কবিতার বই 'ওয়াকিং টু মার্থাজ ভিনিয়ার্ড' এর জন্য পুলিটজার পুরষ্কারে ভূষিত হয়েছেন।)

মর্ট বেলারাশিয়ান ভাষায়, তিনি লিখেছেন একটি শিশুর জন্ম রহস্যময়ঃ "এমনকি আমাদের মায়েরাও জানেননা ( সেই ভাবনা নেই) আমরা কি করে জন্মালাম/ কি করে আমরা তাদের দু'পা বিভাজন করলাম এবং হামাগুড়ি দিয়ে পৃথিবিতে চলে এলাম/ যেই ভাবে
বোমাবর্ষনের পর ধ্বংস স্তুপ থেকে হামাগুড়ি দিয়ে চলে আসি" মর্টের এইভাবে লেখার সক্ষমতাও রহস্যময়। তার কবিতা আমাদের হৃদয়কে গ্রেনেডের মতন ক্ষিপ্র ও তীক্ষ্ণ করে দেয় যেন, সমস্ত কিছু থেকে সরিয়ে দেয়। তার কবিতা পড়ার সময় মনে হবে আপনি একদম সজাগ -- তার বেলারাশিয়ান আওয়াজের তীব্রতায় সচকিত।
তিনি বলেন- " ভাষা নয়।/এর কোন নির্দিস্ট ধারা নেই/ এটা মৃত্যুর মতো--- হঠাৎ ও র্নিদ্বিধায়।" তবু তার কবিতাগুলিতে পুনরোথথান আছে এবং আপনি এসব মৃত্যুর কবিতা বলতে পারবেননা। কবি আছেন - জীবন ভরপুর।

এক আন্তঃর্জাতিক সাহিত্যসভায় তাকে বলা হয়েছে......... " ......আন্তঃর্জাতিক কবিতার জগতে ভ্যালঝিনা মর্ট এক উদিয়মান কবি বলা যেতে পারে। ডিলান থমাস বা অ্যালেন গিন্সবার্গেদের যেমন একটা বিশেষ দুর্লভ যাদুগুণ ছিল তেমন মর্টেরও আছে।
দ্য আইরিশ টাইমস বলেছে -- তার কবিতা আগুনের মতো জ্বলতে পারে, ধাঁধিয়ে দিতে পারে, যারা তার কবিতা শুনেছে তারা সৌভাগ্যবান কারন বেলারাশিয়ান ভাষা অবলুপ্তির পথে, মর্ট তাকে মথিত আবেগ দিয়ে বাঁচাতে চেস্টা করছেন আর সেই ভাষার মেজাজে আপনি আপ্লুত হচ্ছেন। বেলারাশিয়ান কে রাশিয়া গিলে নেবার প্রচেস্টার পর এই ভাষার ঐতিহ্যকে পুনরায় প্রতিষ্ঠার আপ্রাণ চেস্টা চলছে। ইউরোপে মর্টের কবিতা সফরের পর এটা বেড়ে গেছে। মর্টের কবিতা ও কবিতা পাঠে ভাষার রাজনীতি ও কবিতার বিপ্লব
নোঙর করে আছে , যেখানে কবিতা প্রার্থনা ও অস্ত্র।

যখন কেউ অনেক সময় কাটায় দৌড়ে
এবং সিমেন্টের দেওয়ালে
মাথা ঠুকরায়
সিমেন্ট গরম হয়ে উঠে
এবং
সে গুটিয়ে যায়
তার গালের উপর
তারামাছের মত .........

মর্টের কবিতা অনেক ভাষায় অনূদিত হয়েছে। যারা 'ফ্যাক্টরি অব টিয়ারস' কিনেছে তারা বলেছেন, তার কবিতায় অপ্রত্যাশিত ঘটনায় পূর্ণ, ভীষণভাবে সৃজনশীল, আনকোরা নতুন, নিজস্বতাপূর্ণ। মর্মে ধ্বনিত হতে থাকে। মর্টের কবিতা ইউরোপে এক উছ্বাস ও উন্মাদনা এনে দিয়েছে। পুলিটজার বিজয়ী জনপ্রিয়
কবি ফ্র্যানজ্‌ রাইটের সহায়তায় মর্টের দ্বিভাষিক 'ফ্যাক্টরি অব টিয়ারস' কাব্যগ্রন্থখানি পাতলা কিন্তু তাতে মর্টের তরতাজা তারুন্যের ছাপ আছে। কিছু কবিতা গুটি কয়েক বাক্যের, আবার কিছু কবিতা কয়েকটা পৃষ্ঠা ছাপিয়ে যায়, এবং গতিশীল গদ্যের মত। ভাল কবিতাগুলি নিয়ে এসেছে পূর্ব ইউরোপের দুরাবস্থার সংঘাত ( ভিড় জনতা, তুলনামূলক দারিদ্রতা, মন্দ আবহাওয়া) এবং বিশ্বায়নের সাম্প্রতিক ফলাফল ( আত্মঘাতী মানব বোমা, কিশোর সংস্কৃতি, টেলিফোনের লাইফ্ লাইনসহ গেম শো)।
মর্ট একজায়গায় তার দেশবাসীদের সম্বন্ধে বলেছেন, ' আমরা নোংরা ভুরিভোজ করি, ভাবি এটা বুঝি খাবার' এবং বলি ' আমাদের ভবিষ্যত/ দিগন্তের একটি পাতলা সুতোর উপর একজন জিমন্যাস্ট দাঁড়িয়ে আছেন।'
তার পরের কবিতাগুলি তার আমেরিকায় চলে আসার উপর। তিনি এখন ভার্জিনিয়ায় থাকেন। এবং ভাবছেন কিছু পোল্যান্ড থেকে আসা প্রবাসীদের জীবন। তারা কেমন আছেন।' দেশ ছেড়ে তারা কি করে এল/ যেখানে পাথরও শিকর গেড়ে থাকে।' কখনো আমেরিকাবাসিদের একটা বিশেষ ক্ষমতার কথাও অনায়াসে বলতে পারেন। ' আমি সবকিছুতেই প্রতিবাদ করিঃ সুপার মার্কেটের নীচুমানের জিনিস, সাবওয়েতে শূয়রের বিচরণ, এবং যারা সাবওয়েতে শূয়র বিচরণের প্রতিবাদ করেন... এটাই বেঁচে থাকার পথ'।
মর্ট লিখেছেন তার সুখ, দুঃখের জীবন যেটা তার নিজেকে আবিষ্কারের হৃৎ যন্ত্রনা। লিখেছেন সমসাময়িক যৌবন ও একটা জাতির প্রাণরস জাগরণের সংগ্রাম। নিজেকে মেলে ধরা, জাতীয় স্বাধীনতা এবং প্রচুর রুপকালঙ্কার ও ভাষা ইত্যাদি আমাদের এমন এক জায়গায় নিয়ে যায় যেখানে সমস্ত কিছুই আদিম বন্যপ্রকৃতির।

ভ্যালঝিনা মর্ট বেলারাসের মিনস্কে ১৯৮১ সালে জন্ম গ্রহন করেন। তার প্রথম কবিতার বই ' আই এম অ্যাজ থিন অ্যাজ ইয়োর আইল্যাশেস'( বাংলা মানেঃ আমি তোমার চোখের পশমের মত পাতলা) ২০০৫ এ বেলারাসে প্রকাশ হয়। ২০০৪ সালে তার কবিতা পাঠের জন্য শ্লোভেনিয়াতে ক্রিস্টাল ভিলেন্সিয়া (ভিলেনিকা ?)পুরষ্কারে ভূষিত হন। ২০০৫ সালে পোল্যান্ডে একটা স্কলারশিপ পান। ২০০৬ সালে জার্মান থেকে একটা লেখকদের ফেলোশিপ পান। ২০০৮ সালে বোর্দা কবিতা পুরস্কার পান জার্মানিতে।
তিনি নিজের দেশ সম্পর্কে লেখেন ও দেশীয় ভাষায় লেখেন। বেলারাসের একটা উচ্চকিত ইতিহাস আছে এটা এক্ সময় সোভিয়েত প্রজাতন্ত্রের অধীনস্থ ছিল যেখানে মাতৃভাষা নিয়ে বিতর্ক আছে। প্রত্যেকটা ভাষার সমর্থকরা কোন মীমাংশায় যেতে পারেননি। অধিকাংশ লোকই রাশিয়ার ভাষায় কথা বলে ১১ শতাংশ বেলারাশিয়ার ভাষায় কথা বলে। ভাষাটা পূর্ব স্ল্যাভানিক ভাষা, মাত্র সাড়ে সাত কোটি লোক এই ভাষা ব্যাবহার করে। ভাষাটা লুপ্ত হওয়ার মুখে, মর্ট এইভাষাতেই লেখেন, পরিপার্শ্বে রাশিয়ান ভাষা। মর্টের মত অনেকেই বেলারাসের ভাষা আন্তরিকভাবে চালিয়ে যাচ্ছেন। রাশিয়া ও বেলারাশিয়ার ভাষায় ইউক্রেনিয়ার ও পোল্যান্ডের শব্দ স্থান পেয়েছে অনেকটা অংশ জুড়ে। মর্ট তার কবিতায় ভাষার এই জটিল প্রসংগটি ও তুলে নিয়ে এসেছেন। ' দুটো ভাষা কি করে একটা মুখ ভাগাভাগি করে/যেন মনে হয় দুজন মহিলা রএকটা রান্নাঘরে'?

মর্টের কবিতায় আমরা ইতিহাস ও সংস্কৃতির প্রতিফলন দেখি মর্ট ভাষায় মননশীলতার পরিচয় পাওয়া যায়।
“ একটা বইয়ের স্মৃতিতে” তিনি বলেছেন।

বই মরে যায়

অন্ধকার শোবার ঘরের বাইরে
যেখানে শুধু রাস্তাগুলি
একটি হলুদ বাতির দ্বারা আস্তৃত

পৌছে যায় তাদের পৃষ্ঠাগুলিতে
অফুরন্ত ঘরের প্রতি কোনায় কোনায়
যেন এক বিশাল বইয়ের গোরস্থান

যাদের নামে কোন ঘন্টা বাজেনা
তাদের তুলে রাখা হয়েছে ভাঁড়ারে
যেখানে রাখা হয়েছে – কুড়িটা বই একটা বাক্সে-
গন কবর

বই জানালা হয়ে যায়

শূন্য কক্ষে
কারোর হৃদয় স্পন্দিত হয়না এসবের উপর
কেউ তাদের সাথে আসল ভোজন ভাগাভাগি করেনা
বা স্নানের গামলায় রেখে দিয়ে আসেনা

কেউ লক্ষ্য রাখেনা
তাদের পৃষ্ঠাগুলি হারিয়ে যাচ্ছে
চুলের মতন
স্মৃতির মতন
বইগুলির বয়স হচ্ছে।




শিরোনামহীন
‘ফর এ বি’(For A.B.) শিরোনামে কবিতায় তিনি শিশু ও পরিচয়ের মধ্যে যেমন সমান্তরাল রেখা টেনেছেন তেমন ঐতিহ্যের কথাও প্রকাশ করেছেন।

শিরোনামহীন
‘ফর এ বি’(For A.B.)

প্রত্যয় হয়না এখন
যে একসময় আমরা অনেক কচি ছিলাম
আজকের থেকেও
যে আমাদের চামড়া অনেক পাতলা ছিল
যে শিরাগুলি এর মধ্য দিয়ে বইত
যেমন স্কুলের নোটবইয়ে দাগ যেমন ছুটত
যেন পৃথিবী গৃহহীন কুত্তার মতো
ক্লাশের শেষে যারা আমাদের সাথে খেলত
এবং আমরা ভাবতাম এদের বাড়ি নিয়ে যাওয়ার
কিন্তু তার আগেই কেঊ প্রথম এতা নিয়ে যেত
ও একটা নাম দিয়ে দিত
এবং শিক্ষা দিত “আগুন্তুক” চেনার
আমাদের তাক করে

এবং যার জন্য আমরা গভীর রাতেও জেগে উঠি
এবং আমাদের টিভি সেটের মোমবাতিটা জ্বালাই
এবং এসবের উঞ্চশিখায় আমরা চিন্তে পারি
মুখগুলি ও শহরগুলি............।

এবং সকালে খুব সাহসী
আমরা ভাজা তাওয়া (গরম কড়াই) থেকে অমলেটকে সিংহাসনচ্যুত করেছি

কিন্তু আমাদের কুকুর বড় হয়ে উঠছিল অন্যলোকের দড়িতে
আমাদের মায়েরা হঠাৎ আজ বন্ধ করে দিয়েছে
অন্যলোকের সাথে শোওয়া আর তাদের দিকে তাকানো
এটা এতই সহজ ও পরিষ্কার ভাবনায় বিশ্বাসযোগ্য

এবং এখন কল্পনা করুন
শহর কোথাও আছে
বিশাল জলপক্ষীর ডিমের মতো
সমুদ্রের কূল ধরে ছড়ানো
সাদা পাথরের বাড়ির সাড়ি
এবং প্রত্যেক বাড়িতে ঝুলানো এক একজন ক্যাপ্টেনের স্মারক
এবং প্রত্যেকটা স্মারক শুরু হচ্ছে
“তরুণ ও রুপ লাবণ্যবান ......” দিয়ে



ভ্যালঝিনার কবিতাতে জোরালো বক্তব্য আছে। তার কথাগুলি বিস্তীর্নতায়, নির্দ্বিধায়, স্বচ্ছ ও পরিষ্কার, অনেকেই বিশ্বাস করেন এই প্রজন্মের কবিদের অন্যতমা তিনি।

কবিতায় একটা মেজাজ আছে যার দ্বারা আমরা পৌছে যাই জন্ম, মৃত্যু ও স্বপ্নের ভিতর। আর সর্বত্রই ঠাট্টা ছড়ানো আছে। এবং তিনি শিশু, চুল ও অশ্রু-র প্রকৃতি বা রুপ ব্যবহার করেন যাতে তার নিজস্ব মুন্সিয়ানায় বিশ্বাস ও অবিশ্বাসের রহস্যময়তা ধরতে পারেন। তার তরতাজা ও মুচমুচে কথার রেশে ভাবনা ভাসতে থাকে আমাদের মনে, আমরা হতবুদ্ধি ও উদ্বিগ্ন হয়ে উঠি।

‘বেলারাশিয়ান ১’ কবিতায় মর্টের ভয়াবহ নিজের দেশের চিত্র একেঁছেন। সময়টা সোভিয়েট শাসনের অধীনে যখন বেলারাশিয়ান পরাধীন ছিল।

বেলারাশিয়ান- ১

এমনকি আমাদের মায়েদেরও সে জ্ঞান নেই আমরা কি করে জন্মালাম
কি করে আমরা তাদের পা-দুটো বিভাজিত করে এবং হামাগুড়ি দিয়ে পৃথিবীতে এলাম
যেভাবে বোমাবর্ষনের পর ধ্বংস স্তুপ থেকে আপনি হামাগুড়ি দেন
আমরা বলতে পারিনি আমাদের কে ছিল ছেলে আর কে মেয়ে
আমরা শুধু হাভাতের মতো নোংরা ভুরিভোজ করে গেলাম
ভাল রুটি ও আমাদের ভবিষৎ ভেবে

দিগন্তের পাতলা সুতোর উপর একজন জিমন্যাস্ট
খেলা দেখাচ্ছে ওখানে
সর্বোচ্চ শক্তি ও বেগে
কুত্তি

আমরা বড় হলাম এমন একটি দেশে যেখানে
প্রথমে দরজায় খড়ি দিয়ে দাগ কাটা হয়
তারপর অন্ধকারে একটা রথ আসে
এবং তারপর তোমাকে কেউ আর দেখবেনা
কিন্তু গাড়িগুলিতে আগ্নেয়াস্ত্রধারী কেউ ছিলনা
ছিলোনা কাস্তে হাতে কোন আগুন্তুক
এই হল প্রেম কি করে আমাদের বেড়িয়ে যেতে ভালবাসত
এবং ঘোমটা মুখে কেড়ে নিত

জনসাধারনের পায়খানায় পেচ্ছাপখানায় শুধু মুক্ত
যেখানে আমরা কি করছিলাম ছিটেফোঁটা পরিবর্তন কারোর চোখে আসেনা
গরমের খরতাপ আর শীতের শৈত্যের সাথে যুঝে যাচ্ছিলাম
যখন আমরা আবিষ্কার করলাম আমরা নিজেরাই ভাষা
এবং আমাদের জিহবা কেটে নেওয়া হয়েছে আমরা আমদের চোখের সাথে কথা বলতে লাগলাম
যখন আমাদের চোখে খোঁচা মারাহল আমরা হাতের সাথে কথা বলতে লাগলাম
যখন আমাদের হাতগুলো কেটে নেওয়া হল আমরা পায়ের আঙ্গুল দিয়ে বাক্য বিনিময় করছিলাম
যখন আমাদের গুলি করা হল পায়েতে আমরা হ্যাঁ বলার জন্য মাথা নাড়িয়ে সায় দিলাম
আর মাথা ঝাঁকিয়ে না বলতে লাগলাম এবং যখন তারা আমাদের সচেতন মাথা খেয়ে নিল
আমরা আমাদের ঘুমন্ত মায়েদের পেটে আবার হামাগুড়ি দিয়ে চলে গেলাম
যেন বোমার আশ্রয়ের মধ্যে
আবার জন্ম নেব বলে

এবং ওখানে দিগন্তে আমাদের ভবিষ্যতের জিমন্যাস্ট
সূর্যের আগুনের গোল্লার মাঝ দিয়ে
লাফিয়ে চলছে।




No comments:

Udaipur tailor murder case: Mohammed Riyaz Attari and Ghous Mohammed

  Religious Atrocity in India. How was Kanhaiya Lal killed? Why was the Udaipur tailor murdered? Kanhaiya Lal had written some allegedly obj...